কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার সুন্দলপুর ইউনিয়নের দশপাড়া গ্রামের সৌদী প্রবাসী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো.আব্দুল বাতেন ভূঁইয়ার বাড়ী থেকে উচ্ছেদ করে জায়গা দখলের চেষ্ঠা ও প্রাণ নাশের হুমকি
প্রতিবাদে প্রতিপক্ষ সিদ্দিকুর রহমান, ফারুক রহমান ভূঁইয়া ও সাখাওয়াত হোসেনের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়৷
বৃহস্পতিবার(২৪ আগস্ট)দুপুরে দাউদকান্দি পৌর সদরের একটি রেস্টুরেন্টে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়৷
সংবাদ সম্মেলনে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো.আব্দুল বাতেন ভূঁইয়া তার লিখিত বক্তব্যে বলেন,আমি দীর্ঘ ৩৫বছর যাবত সৌদী প্রবাসী৷ কিছুদিন পূর্বে আমি দেশে এসে আমার জায়গায় বাড়ী নির্মাণের কাজ শুরু করলে প্রতিপক্ষ সিদ্দিকুর রহমান ও তার বাহিনী নিয়ে আমার নিকট ৫ লক্ষ টাকার চাঁদা দাবি করলে তা দিতে অপারগতা প্রকাশ করায় এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সিদ্দিকুর রহমানসহ তার বাহিনী দিয়ে আমাকে এবং পরিবারকে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়৷ ভুক্তভোগী জানান, কোন উপান্তর না পেয়ে তিনি দাউদকান্দি উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন৷
এদিকে উপজেলার সুন্দলপুর মডেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান দুইবার শালিস বৈঠক করলেও প্রতিপক্ষ সিদ্দিকুর রহমান শালিস বৈঠক না মেনে চলে যান৷সিদ্দিকুর রহমান আইনের কোন তোয়াক্কা না মেনেই প্রতিদিনই আমাকে আমার পরিবারকে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে আসছে৷ তাই আমি নিজের নিরাপত্তা ও জায়গা যেন দখল করতে না পারে সেই লক্ষেই মডেল থানায় একটি সাধারন ডায়রীসহ কুমিল্লা আদালতে মামলা দায়ের করি৷বর্তমানে মামলাটি চলমান রয়েছে৷এদিকে বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বাতেন ভূঁইয়া আরও বলেন, স্থানীয় প্রশাসনসহ সরকারের কাছে জোর দাবি জানাই সুষ্ঠ বিচারের মাধ্যমে প্রকৃত ঘটনা খুজে বের করা হয়৷
এ ব্যাপারে দাউদকান্দি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা খোরশেদ আলম জানান,এ ঘটনায় আমরা দুইবার শালিস বৈঠকে বসেছিলাম কিন্তু প্রতিপক্ষ সিদ্দিকুর রহমান বিচার মেনে নেয়নি৷
তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই নাজিম উদ্দিন বলেন,উভয় পক্ষকে নিয়ে সুন্দলপুর মডেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আসলাম মিয়াজীসহ স্থানীয় গণমান্য ব্যক্তিদের নিয়ে সালিশ বৈঠক বসলে ও প্রতিপক্ষ সিদ্দিকুর রহমান বিচার না মেনে চলে যান৷
সুন্দলপুর মডেল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আসলাম মিয়াজীর মোবাইল ফোনে একাধিক বার ফোন করলেও তার ফোনে সংযোগ পাওয়া যায়নি৷