হোমনায় ঘরে ঢুকে স্কুল ছাত্রীসহ তিনজকে নৃশংসভাবে হত্যা করেছে দুবৃত্তরা। উপজেলার ঘাগুটিয়া ইউনিয়নের বড় ঘাগুটিয়ায় গ্রামে গতকাল বুধবার রাত আটটা থেকে বৃহস্পতিবার সকাল আটটার মধ্যে এ নৃশংস খুনের ঘটনা ঘটে।
নৃশংস এ খনের ঘটনায় কুমিল্লার পুলিশ সুপার মোঃ আসফিকুজ্জামান, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার আশফাকুজ্জামান, ইউএনও ক্ষেমালিকা চাকমা, ওসি মো. জয়নাল আবেদীন, র্যাব, সিআইডি, পিবিআইয়ের টিম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তবে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত এঘটনায় কেউ গ্রেফতার হয়নি।
নিহতরা হলেন, ওই গ্রামের শাহপরানের অন্ত:সত্ত্বা স্ত্রী মাহমুদা আক্তার (৩৫) ও একমাত্র ছেলে শাহেদ (৯) এবং শাহ পরানের ফুফাত ভাই মো. রেজাউল করিমের মেয়ে তিশামণি। তিশামণি উপজেলার দুলালপুর চন্দ্রমণি উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
নিহত মাহমুদা বেগমের স্বামী শাহপরান বলেন, তিনি ঢাকায় একটি জুতা ফেক্টোরীতে চাকুরী করেন। তার স্ত্রী মাহমুদা একমাত্র ছেলে শাহেদকে নিয়ে বাড়িতে থাকেন। মাঝে মধ্যে রাতে তার মামাতো ভাই রেজাউল করিমের মেয়ে তিশামনি মাহমুদা বেগমের সাথে থাকতেন। আমার সাথে কারোর কোন শত্রুতা নেই।
আজ সকালে আমার স্ত্রী, ছেলেসহ, তিশামণি খুন হয়েছে খবর পেয়ে বাড়িতে আসি। সঠিত তদন্ত সাপেক্ষে আমি এর উপযুক্ত বিচার চাই।
তিশামনির বাবা মো. রেজাউল করিম বলেন, তিশা মনি মাঝে মধ্যে রাতে আমার ফুফাতো ভাই শাহাপরানের ঘরে তার স্ত্রী সাথে থাকে। গতরাতেও শাহপরানের স্ত্রীর সাথে তার ঘরে ছিল। পরে আজ বৃহস্পতিবার সকাল ৮ টার দিকে আমার ছোট মেয়ে মিম তিশামণিকে স্কুলে যাওয়ার জন্য ডাকতে গিয়ে তিনজনের রক্তাক্ত লাশ দেখে চিৎকার করে জ্ঞান হারিয়ে ফেলে। পরে আমরা দুর্ঘটনার খবর শুনে ঘটনাস্থলে যাই। আমার কোন শত্রুতা নেই। এই মূহুর্তে আমি কাউকে সন্দেহও করতে পারছি না।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) খন্দকার আশফাকুজ্জামান বলেন, তিনজনের গলায়ই ওড়না প্যাচানো ছিল। ধারণা করা হচ্ছে তিনজনকে শ্বাসরোধে হত্যা করে মৃত্যু নিশ্চিত করতে কাঠ দিয়ে মাথায় আঘাত করে পালিয়ে যায়। তবে ঘরের কোনো মালামাল তছনছ দেখা যায়নি। প্রাথমিকভাবে ধর্ষণের কোনো আলমত দেখা যায়নি।
হোমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জয়নাল আবেদীন বলেন লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য কুমেক হাসপালে পাঠানো হয়েছে। খুনের রহস্য উদঘাটনে এবং খুনিদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন।