সৌদি আরবে শ্রমিক হিসেবে যাওয়ার আট মাসের মাথায় সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারানো কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার তরুণ মো. হৃদয় ইসলাম (২৬) এর মরদেহ এক মাস পর দেশে এসেছে। নিহত হৃদয় ইসলাম ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার দুলালপুর ইউনিয়নের দুলালপুর (মিরকিল্লা পাড়া) গ্রামের মজিবুর রহমানের ছেলে।
বৃহস্পতিবার (১২ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় দুলালপুর পূর্বপাড়া আয়চাঁন বিবি জামে মসজিদের সামনে জানাজা শেষে ওই তরুণকে দুলালপুর কেন্দ্রীয় কবরস্থানে দাফন করা হয়।
বুধবার (১১ ডিসেম্বর) রাজধানীর হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে মো. হৃদয় ইসলামের মরদেহ এসে পৌঁছায়। রাতেই মরদেহ তার নিজ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়। ওই তরুণের মৃত্যুতে পরিবার ও এলাকাবাসীর মধ্যে শোকের ছায়া নেমে আসে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে হৃদয় ইসলামের বাবা মজিবুর রহমান আবু বলেন, পরিবারের সচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে ৮ মাস আগে ৬-৭ লাখ টাকা ঋণ করে হৃদয় ইসলামকে সৌদি আরবে পাঠানো হয়েছিল। সেখানে গিয়ে হৃদয় প্রায় পাঁচ মাসের মতো কোনো কাজ পায়নি। তিন মাস আগে রিয়াদের একটি রেস্টুরেন্টে ফুড ডেলিভারি ম্যানের চাকরি নেয়। গত ৮ নভেম্বর (শনিবার) সৌদি আরব সময় বিকেল ৪টার দিকে মোটরসাইকেলে করে কাস্টমারকে ফুড ডেলিভারি দিতে যাওয়ার সময় পেছন থেকে আসা দ্রুতগামী একটি লরি তাঁকে চাপা দেয়। গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয় পুলিশ তাঁকে উদ্ধার করে কিং খালিদ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এরপর তাঁর মরদেহ ওই হাসপাতালে ছিল। আইনি প্রক্রিয়া শেষে বুধবার বিকেল পাঁচটায় মরদেহ বাংলাদেশে আসে। রাত ১১টার দিকে মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসা হয়।