আবহাওয়া অনুকূলে না থাকায় এবং গোমতী ও সালদানদী ভাঙা পড়ে ভয়াবহ বন্যা হয়ে ব্রাহ্মণপাড়ায়। ক্ষতি সম্মুখে পড়ে এলাকার কৃষকরা। এছাড়া ঘনঘন বৃষ্টিপাত হওয়ায় আগাম জাতীয় সবজি নিয়ে বিপাকে পড়েছিল চাষিরা। বন্যার পরবর্তীতে ঘুরে দাঁড়াতে কয়েক দফা জমিতে রবি ফসল ও শাক সবজি বুনে ছিল চাষিরা। বর্তমানে উপজেলার প্রায় সবকয়টি ইউনিয়নের জমিতে আগাম জাতের সবজি ভরপুর রয়েছে। এসব সবজির মধ্যে রয়েছে বাঁধাকপি, ফুলকপি, মুলা, শিম, বরবটি, লাউ, টমেটো, গাজর, কাঁচা মরিচ ও ধন্যপাতা। তবে ক্রেতারা বলছেন,আলু, টমেটো, বাঁধাকপি ও ফুলকপি এবং লাউয়ের দাম আকাশ ছোয়া। তাই অনেকেই কিনতে পারছেন না এসব সবজি। এ ছাড়া অন্যান সবজি রয়েছে হাতের নাগালে। বিক্রেতারা বলছেন, বাজারে শীতকালীন আগাম সবজি উঠলেও দাম কিছুটা বেশি। তবে সরবরাহ আরো বাড়লে দাম কমবে।
আজ শনিবার ব্রাহ্মণপাড়া সদর বাজার ও বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে বিভিন্ন জাতের শীতকালীন আগাম সবজি ভরপুর এসব আগাম জাতের সবজির মধ্যে রয়েছে আলু পুরাতন প্রতি কেজি পুরাতন ৭০ -৭৫ টাকা, নতুন ১০০-১৩০ টাকা, বাঁধাকপি প্রতিটি ৪০ -৫০ টাকা, ফুলকপি প্রতিটি ৫০-৬০ টাকা, মুলা প্রতি হালি ৪০ -৫০ টাকা , শিম প্রতি কেজি ৮০-১০০ টাকা , বরবটি প্রতি কেজি ৯০-১০০ টাকা , লাউ প্রতিটি ৮০-১২০ টাকা , টমেটো প্রতি কেজি পাকা ১৫০–১৮০ টাকা , কাচা টমেটো ৭০-৮০ টাকা, গাজর ১৫০-১৮০ টাকা খিরা প্রতি কেজি ৫০-৬০ টাকা ধন্যপাতা প্রতি কেজি ১০০-১৫০ টাকা, কাচাঁমরিচ প্রতি কেজি ১২০-১৫০ টাকা । অন্যান্য সবজির তুলনায় এসব সবজির আমদানি তুলনামূলক বেশি হওয়ায় দাম কিছুটা হাতের নাগালে রয়েছে।
ব্রাহ্মণপাড়া সদর বাজারের সবজি ব্যবসায়ী ইউনুস মিয়া, কালাম, মোঃ বিল্লাল মিয়া বলেন, আমার প্রতিদিন নিমসার, কংশনগর, সাহেব বাজার ও ময়নামতি, এবং রাজাগঞ্জ আড়ত থেকে সবজি কিনে ব্রাহ্মণপাড়া বিভিন্ন বাজারে বিক্রয় করে থাকি, সবেমাত্র বাজারে আগাম সবজি উঠতে শুরু করেছে। আমদানি বেশি হলে খুচরা বাজারে দাম কমে আসবে। নতুন সবজির আমদানি কম, তাই দাম একটু বেশি।
এ ব্যপারে ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিদ মাসুদ রানা বলেন, বাজারে শীতকালীন সবজি ভরপুর রয়েছে। এ বছর গোমতী ও সালদানদী ভাঙা পড়ে উপজেলায় শীতকালীন সবজি চাষিদের কিছুটা ক্ষতি হয়েছে, আমরা চাষীদের প্রণোদনা হিসেবে বীজ, সার ও নগদ টাকা সহায়তা দিয়েছি। বর্তমানে দাম একটু বেশি আশাকরি অল্প কিছুদিনের মধ্যে দাম কমে যাবে।