কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার আগুন লেগে বসতঘর ও ঘরের আসবাবপত্র পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। গতকাল শুক্রবার ( ৮ ডিসেম্বর ) রাত আনুমানিক ৩টায় উপজেলার মালাপাড়া ইউনিয়নের আসাদনগর গ্রামের হাজী বাড়ির মামুনুর রশীদের ঘরে অগ্নিকাণ্ডের এ ঘটনা ঘটে। এতে একটি বসতঘর ও ঘরের আসবাবপত্রসহ নগদ দেড় লখ টাকা পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের দাবি অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় তাদের দশলাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। তবে এতে কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার রাত ৩টার দিকে ওই এলাকার মামুনুর রশীদের বসতঘরে এ আগুনের সূত্রপাত হয়। দেখতে দেখতেই আগুন পুরো ঘরে ছড়িয়ে পড়ে। তাদের আর্তচিৎকারে আশপাশের লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রণে এগিয়ে আসে। এ সময় ফায়ার সার্ভিসের কর্তৃপক্ষকে আগুন লাগার বিষয়টি জানানো হয়। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা আসার আগেই মামুনুর রশীদের বসতঘর ও ঘরের আসবাবপত্রসহ নগদ দেড় লাখ টাকা পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে দশলাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেন ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার।
এদিকে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও স ম আজহারুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ( ভারপ্রাপ্ত ) আমিনুল ইসলাম সুজন ও স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল মামুন।
এ ব্যপারে ক্ষতিগ্রস্ত মামুনুর রশীদ বলেন, শুক্রবার রাত ৩টার দিকে আমার বাড়িতে আগুন লাগে। আগুনের সুত্রপাত কীভাবে হয়েছিল তা ঠিক জানি না। বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের কারণেও হতে পারে। তবে এতে আমার একটি বসতঘর ও ঘরের আসবাবপত্রসহ নগদ দেড়লাখ টাকা পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও স ম আজহারুল ইসলাম বলেন, এ ধরণের দুর্ঘটনা কোনোভাবেই কাম্য নয়। উপজেলার মালাপাড়া ইউনিয়নের আসাদনগর গ্রামে অগ্নিকান্ডে ক্ষয়ক্ষতির ঘটনাস্থল আমি সরেজমিনে পরিদর্শন করেছি। ধারনা করা হচ্ছে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিটের কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের ইস্টিমেট অনুযায়ী তাদের দশলাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। আমি এর প্রতিবেদন করে জেলা প্রশাসক ও ত্রাণ ও দুর্যোগ অধিদপ্তর বরাবর পাঠিয়েছি। এতে ওই ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার কিছুটা হলেও ক্ষতিপূরণ পেতে পারে।
তিনি আরও বলেন, এ ধরনের দুর্ঘটনা জনসচেতনতার অভাবেও অহরহ ঘটছে। এ জন্য বৈদ্যুতিক জিনিসপত্র ব্যবহারের সঠিক নিয়ম জানা জরুরি। এ বিষয়ে প্রতিটি ইউপি চেয়ারম্যান সাহেবদের বলেছি ইউনিয়ন ভিত্তিক জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে উদ্যোগ নিতে।