নব্য কোনো ফ্যাসিবাদ দলকে ক্ষমতায় দেখতে চাই না বলে মন্তব্য করেছেন সাবেক ডাকসু ভিপি কেন্দ্রীয় গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।
শনিবার( ২ নভেম্বর) দুপুরে দাউদকান্দি উপজেলার বিশ্বরোড ঈদগা মাঠে উপজেলা গণ অধিকার পরিষদ আয়োজিত এক পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেছেন।
তিনি আরও বলেন, যারা মানুষের অধিকার কেড়ে নেয়। মানুষকে শাসনের নামে শোষণ করে এমন সরকারের আমরা পুনরাবৃত্তি দেখতে চাই না। জুলাই থেকে শুরু হওয়া গত ৫ আগষ্ট পর্যন্ত ছাত্র-জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচার ফ্যাসিবাদের জননী শেখ হাসিনা ক্ষমতা ছেড়ে পালিয়ে গেলেও তার দোসররা ঘাপটি মেরে বসে আছে। এরা একের পর এক ষড়যন্ত্র করছে তাদের এই ষড়যন্ত্র রুখে দিতে ছাত্র-জনতা সর্বদা প্রস্তুত আছে।
প্রশাসনের উদ্দেশ্যে নুর বলেন, আপনারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে আছেন। অতীত থেকে শিক্ষা নিয়ে কাজ করেন। কোনো দলের এজেন্ডা বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করা হলে যদি তা প্রতীয়মান হয় তাহলে আপনাদের চাকরি করার নৈতিকতা নেই। যদি এই মানসিকতা পরিহার না করতে পারেন তাহলে চাকরি ছেড়ে বাড়ি চলে যান।
নুরুল হক নুর বলেন, আমরা একটি রাজনৈতিক দলের কর্মকাণ্ডে বিরক্ত। তাদের কর্মকান্ড থেকেও ফ্যাঁসিবাদের গন্ধ পাওয়া যাচ্ছে, তাদেরকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলতে চাই আপনারা অনেক করেছেন। এবার থামুন।মানুষের জন্য কাজ করুন। মানুষের কল্যাণের রাজনীতি করুন নচেৎ আপনাদের পরিমাণ নাম কী হবে তা জাতি ঠিক করে রেখেছে।
ডাকসুর সাবেক এই ভিপি বলেন, গণ অধিকার পরিষদ মানুষের কথা বলেছে। বলবে, আগামীর দিনগুলোতে যেকোনো অন্যায় অনিয়ম দেখলে, শাসনের নামে শোষণ দেখলে ছাত্র-জনতাকে পাশে নিয়ে তা প্রতিহত করবে এবং সকল অপকর্মের দাঁতভাঙা জবাব দিতে প্রস্তুত থাকবে। গণ অধিকার পরিষদ, ছাত্র অধিকার পরিষদ কোথায় চাঁদাবাজি, টেন্ডারবাজি, দলবাজি করে না। তাই মানুষের কল্যাণের রাজনীতির সুন্দর ও মসৃণ পথ তৈরি করতে আমরা প্রস্তুত আছি ইনশাল্লাহ। দেশ-জাতি-মানুষের রক্ষায় নতুন ধারার রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার জন্য নতুনদের প্রতি আহ্বান জানাই।
রাজনৈতিক দলের উদ্দেশ্যে ভিপি নুর বলেন, এটা কিন্তু কোনো রাজনৈতিক দলের সরকার না। এটা একটা অরাজনৈতিক সরকার। এই মুহূর্তে কোনো রাজনৈতিক দলের বাহাদুরি এদেশের জনগণ মেনে নিবে না। আওয়ামী ফ্যাসিবাদের যেভাবে যবনিকাপাত করেছে। আপনাদেরকেও একই পন্থায় রুখে দেওয়া হবে। আমরা এক ফ্যাসিবাদ হটিয়ে আবার কোনো ফ্যাসিবাদ দেখতে চাই না, এক স্বৈরাচার হটিয়ে আবার কোনো স্বৈরাচারের আবির্ভাব দেখতে চাই না। এদেশের জনগণ তাদের অধিকার আদায় করতে গিয়ে অনেক রক্ত দিয়েছে, অনেক প্রাণ দিয়েছেন। আমি স্পষ্ট বলতে চাই ২৪ এর ছাত্র-জনতার রক্তই হবে শেষ রক্ত। মানুষের অধিকার আদায়ের জন্য আর রক্ত, আর প্রাণ দিতে হবে না।
পথসভায় এছাড়াও বক্তব্য রাখেন— কেন্দ্রীয় গণ অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, কেন্দ্রীয় ছাত্র অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক নাজমুল হাসান, কেন্দ্রীয় যুব অধিকার পরিষদের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক
মেহেদী হাসান সানি, কর্মসংস্থান বিষয়ক ফয়সাল আহমেদ প্রমুখ।
স্থানীয় গণ অধিকার পরিষদ, যুব অধিকার পরিষদ ও ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতাদের মধ্য উপস্থিত ছিলেন— তিতাস উপজেলা গণ অধিকার পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক মশিউর রহমান, কামরুল হাসান, শরীফ প্রধান, সামাদ চৌধুরী, নেহাল,জাহিদ মাষ্টার, সোহান খান, রিগান, আল-আমিন বাবু, রেদোয়ান, নাহিদ, আল-আমিন,রফিকুল ইসলাম ও মাহবুব প্রমুখ।