কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বিশেষ অভিযান চালিয়ে একটি এলজি বন্ধুক সহ সালাহ উদ্দিন খাঁন নামে এক চিহিৃত সন্ত্রাসীকে আটক করেছে সেনাবাহিনী। আটককৃত সালাহ উদ্দিন খাঁন উপজেলার গুনবতী ইউনিয়নের কালিয়াতল এলাকার শাহজাহান খাঁনের ছেলে। অভিযানকালে সেনাবাহিনী স্থানীয় সন্ত্রাসীদের একটি টর্চার সেলের সন্ধান পায়। পরে আটককৃত যুবককে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চৌদ্দগ্রাম ক্যাম্প থেকে সোমবার (০৬ জানুয়ারি) দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
সেনাবাহিনীর চৌদ্দগ্রাম ক্যাম্প আরও সূত্রে জানা গেছে, অবৈধ অস্ত্র রাখার সুনির্দিষ্ট অভিযোগের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর চৌদ্দগ্রাম ক্যাম্প এর একটি আভিযানিক দল রোববার রাতে উপজেলার জগন্নাথদীঘি ইউনিয়নের ফকিরবাজার এলাকায় বিশেষ অভিযান চালিয়ে স্থানীয় চিহিৃত সন্ত্রাসী সালাহ উদ্দিন খাঁনকে আটক করে। পরে তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে তার বাড়ির পাশের ‘লন্ডনী বাড়ী’ নামে পরিচিত একটি বাড়িতে অভিযান চালিয়ে একটি এলজি বন্ধুক ও বিপুল পরিমান দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এ সময় একটি টর্চার সেলের সন্ধান পায় সেনাবাহিনী। দ্বিতল বিশিষ্ট ওই ভবনের একটি কক্ষ নির্যাতন সেল হিসেবে ব্যবহার করতো স্থানীয় সন্ত্রাসীরা। আলোচিত ওই ভবনটি একই এলাকার রিয়াজ হুসেইন কামালের বলে সেনাবাহিনী সূত্রে জানা গেছে। আটককৃত সালাহ উদ্দিন খাঁনকে সোমবার সকালে চৌদ্দগ্রাম থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের শেষে সোমবার দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। এই অভিযানকে সন্ত্রাসী কার্যক্রম বন্ধে বিশেষ সফলতা হিসেবে দেখছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার ও সন্ত্রাসীদের ধরতে সেনাবাহিনীর এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানা গেছে।
এ বিষয়ে চৌদ্দগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ.টি.এম আক্তার উজ জামান বলেন, ‘বাংলাদেশ সেনাবাহিনী বিশেষ অভিযান চালিয়ে সালাহ উদ্দিন খাঁন নামে এক যুবককে এলজি ও বিপুল পরিমান দেশীয় অস্ত্র সহ আটক করে থানায় হস্তান্তর করেছে। তার বিরুদ্ধে থানায় অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের ও আইনী প্রক্রিয়া শেষে আদালতের মাধ্যমে তাকে জেলহাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।’