কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে চাঞ্চল্যকর অটোরিকশা চালক শিমুলের হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশ।
রবিবার (১৩আগস্ট)রাতে অভিযান চালিয়ে হত্যার সঙ্গে জড়িত ৫জনকে আটক করে পুলিশ।
আটককৃতরা হলো, উপজেলার পেচাইমুড়ি এলাকার সুমন মিয়ার ছেলে সাইমন(১৬),পৌরসভার পশ্চিম শ্রীপুর এলাকার হারুন আর রশিদের ছেলে আব্দুল মান্নান(২৪), বাবুল মিয়ার ছেলে বাপ্পি(১৪),রামরায় গ্রাম এলাকার দুদু মিয়া ছেলে রবিন(২২) ও মৃত আলমগীর মিয়ার ছেলে সৈকত(১৬)।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছে চৌদ্দগ্রাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা শুভ রঞ্জন চাকমা।
ওসি জানান,গত কয়েকদিন আগে জুয়েল(১২)নামে এক কিশোরকে বাই সাইকেল ও পাঁচশত টাকাসহ অপহরণ করে দোয়েল চত্ত্বরের একটি বাসায় আটক সায়মন,রবিন,সৈকত। জুয়েলের পিতা সুমন মিয়ার কাছে তারা মুক্তিপণ দাবি করে।সুমন মিয়া জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯এ ফোন দেয়। এ এস আই জুয়েলকে তদন্তে দায়িত্ব দিলে সে সাইমন(১৬)নামে এক কিশোরকে আটক করে। পরে অপহরণ সাথে জড়িত কয়েকজনকে আটক করে পুলিশ।এই অপহরণের সাথে জড়িত আরেক আসামী রবিন(২২) পুলিশের সামনে সাইমনকে “তার মতো তুরে ও মারা হবে”এই বলে হুমকি দেয়। এএসআই জুয়েল এই কথা শুনতে পায়।পরে ব্যপক জিজ্ঞাসাবাদে বেড়িয়ে আসে চাঞ্চল্যকর অটোরিকশা চালক শিমুল হত্যাকাণ্ডের আসল রহস্য। তারা তখন শিকার করে গত ২২জুন অটোরিকশা চালক শিমুলকে হত্যা করে ডুবার মধ্যে পেলে যায়।এঘটনার ৫৩ দিন পরে হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ।সাইমনকে ব্যপক জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় অটোচালক শিমুল তাদের বন্ধু ছিল।তারা শিমুলের অটো ছিনতায়ের জন্য পরিকল্পনা করে কিন্তু হত্যা করা তাদের পরিকল্পনায় ছিল না। শিমুলের অটোরিকশায় ঘুরতে যাবে বলে পরিকল্পনা অনুসারে তারা চৌদ্দগ্রাম বাজার থেকে হায়দারপোল এলাকায় শিমুলকে নিয়ে যায়। সেখানে আবদুল মান্নান তার পকেট থেকে বেল্ট বের করে শিমুলের গলায় প্যাছিয়ে ধরে। পরে শিমুল নড়াচড়া না করলে তাকে ডোবার মধ্যে পেলে তারা অটো নিয়ে পালিয়ে যায়।
গত ২৪জুন দুপুরে উপজেলার হায়দারপোল এলাকায় অটো চালক শিমুলের মরা দেয় উদ্ধার করে পুলিশ।ওইদিন রাতে নিহত বাবা সুমন ড্রাইভার অজ্ঞাত কয়েকজনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করে।
তিনি আরো জানান, আসামী সায়মনকে আদালতের মাধ্যমে রিমান্ড চাওয়া হয়েছে।হত্যা কান্ডের সাথে আর কেউ জড়িত আছে কিনা জানা যাবে।