হোমনায় ৫ মিনিটের মধ্যেই সব স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গেলো প্রতিবন্ধি সাদ্দাম হোসেনের। হিটস্ট্রোকে একে একে মারা গেলো তার গোয়াল ঘরের চার গরু।
সোমবার রাত দশটার দিকে উপজেলার বাগমারা গ্রামের আাবদুর রশিদ মিয়ার ছেলে অনেকটা বাক প্রতিবন্ধি সাদ্দামের গোয়াল ঘরে থাকা পাঁচটি গরুর মধ্যে চারটি গরুই পাঁচ মিনিটের মধ্যে একে একে মারা যায়।
গরুর মালিক সাদ্দাম হোসেন জানান, সংসারে আর্থিক স্বচ্ছলতা ফেরাতে ধারদেনা করে পাঁচটি গুরু কিনি। এর মধ্য তিনটি ষাড় ও দু’টি গাভী রয়েছে। একটি গাভী আর কিছু দিন পরই বাচ্চা দেয়ার কথা ছিল। স্বপ্ন ছিল আসছে কুরবানির ঈদে দু’টি ষাড় গরু বিক্রি করবো এবং গাভীর দুধ বিক্রি করে সংসারে স্বচ্ছলতা আনবো।কিন্তু গতকাল রাতে পাঁচ মিনিটের মধ্যেই আমার দু’টি ষাড় ও গাভীন গাভীটিসহ চারটি গরু হঠাৎ মরে যায়। এগুলোর বর্তমান মূল্য আনুমানিক আট লাখ টাকার মতো। গরুগুলো মরে আমার সকল স্বপ্ন ভেঙে চুরমার হয়ে গেছে। আমি নিস্ব হয়ে গেছি।আমি কিভাবে এ ক্ষতি পোষাবো, ধারদেনা পরিষোধ করবো?
উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মো. জয়নাল আবেদীন জানান, খবর শুনে রাতেই তাৎক্ষণিক ঘটনাস্থলে যাই। গরুর খাবারে কোনো ক্ষতিকারক ছিল কিনা পরীক্ষা করে দেখি,কিন্তু খাবারে কোনো সমস্যা পাওয়া যায়নি। তবে যে ঘরে গরু গলো থাকতো ঘরটি ছিল বদ্ধ। সেখানে আলো বাতাসের অনেক অভাব ছিল। যে ঘরে একটি গরু রাখার কথা ছিল সেখানে চারটি মোটা তাজা গরুসহ পাঁচটি গরু রাখতো। ঘরে খুব গরম ছিল। মনে হয়েছে, ঘরে আলো বাতাসের অভাবের কারণে প্রচন্ড গরমে হিটস্ট্রোক করে গরু গুলো মারা গেছে।
গরুর মালিক নেয়াত দরিদ্র, আমরা তার নাম ঠিকানা রেখেছি,কোনো সহযোগিতার সুযোগ আসলে তাকে সহযোগিতা করা হবে