সৌদি আরবের জেদ্দায় মো. রুহুল আমিন (৩০) নামের এক বাংলাদেশী যুবক ময়লার গাড়ীর চাপায় নিহত হয়েছে। গত বুধবার (২ আগস্ট) বাংলাদেশের সময় সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় এ ঘটনা ঘটে। এ খবরে রুহুল আমিনের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় চলছে শোকের মাতম।
নিহত রুহুল আমিন কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার চান্দলা ইউনিয়নের হুরারপাড় বড় বাড়ির মো. কুদ্দুস মিয়ার ছেলে।
নিহতের পরিবার জানায়, জীবিকার তাগিদে রুহুল আমিন গত দুই বছর আগে সৌদি আরবের জেদ্দায় যান। সেখানে তিনি সড়ক পরিস্কারের (বলদিয়া) কাজ করেন। ঘটনার দিন বুধবার রাতে তারা জানতে পারেন ও সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখতে পান তাদের ছেলে রুহুল আমিন ওইদিন সন্ধ্যায় কাজ শেষে বাসায় ফেরার পথে সড়ক দূর্ঘটনায় মারা গেছেন।
সৌদি আরবে অবস্থানরত নিহতের বড় ভাই আল আমিনের নিকট পরিবারের পক্ষ থেকে ঘটনার সত্যতা জানতে চাইলে আল আমিন তাদের জানায়, ময়লা ফেলার সময় তাদের ময়লার গাড়ির চাপায় সে মারা গেছে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ নিহত রুহুল আমিনের মরদেহ উদ্ধার করেছে। এছাড়া ঘটনার সময় সাথে থাকা তার এক সহযোগী ও তাদের গাড়ির চালককে সৌদি পুলিশ আটক করেছে। নিহতের মরদেহ দেশে এনে দাফনের বিষয়ে তার ভাই বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগ করছেন।
পরিবার জানায়, নিহত রুহুল আমিনের দেশে মা, বাবা, স্ত্রী ও সাড়ে চার বছর বয়সের জান্নাতুল ফেরদৌস নামের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
এ খবর শুনে নিহতের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম।তার স্ত্রী ও মা পুত্র শোকে কাতর হয়ে গেছে। তারা বার বার মুর্ছা যাচ্ছে।
নিহতের চাচা কামরুল হাসান বলেন, বিয়ের দুই বছর পর সৌদি আরবে যায়।তার একটি চার বছর বয়সী কন্যা সন্তান রয়েছে। জেদ্দায় ডিউটি অবস্থায় ময়লার গাড়ীর চাপায় মারা গেছে। নিহতের লাশ পুলিশ হেফাজতে হাসপাতালে রয়েছে। লাশটি দেশে আনার জন্য সরকারের কাছে জোর দাবী করছি।