কুমিল্লায় মনোনয়নপত্র কিনতে এসে হামলার শিকার হওয়া এক স্বতন্ত্র প্রার্থীর ভিডিও ভাইরাল হয়। হামলার শিকার ওই প্রার্থী জেলা নির্বাচন কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ জমা দেন। পরে এ ঘটনায় তদন্ত শেষে পুলিশ জানায়, পরিকল্পিতভাবে নির্বাচনের পরিবেশ বিশৃঙ্খল করতে মনোনয়ন প্রার্থীকে মারধরের ঘটনা সাজানোর অভিযোগে পাঁচজনকে আটক করেছে জেলা পোয়েন্দা পুলিশ। শনিবার (২৫ নভেম্ববর) বিকেলে কুমিল্লা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান।
শুক্রবার রাত থেকে কুমিল্লা নগরের বিভিন্ন এলাকা থেকেও অভিযান চালিয়ে ডিবি পুলিশ তাদেরকে আটক করা হয়। আটকৃত হল – কুমিল্লা নগরের ছোটরা মফিজাবাদ কলোনী এলাকার মোঃ সুমন, মোঃ সবির, মোঃ সবুজ, ইকবাল হোসেন, মাসুদ রানা।এর আগে গতকাল শুক্রবার কুমিল্লা জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে মনোনয়ন পত্র নিয়ে ফেরার পথে দুর্বৃত্তদের হামলার শিকার হয় গোলাম সারোয়ার নামে এক ব্যক্তি। তাকে মারধরের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরাল হয়। গোলাম সারোয়ার মনোহরগঞ্জ উপজেলার ভাউপুর গ্রামের মৃত শামসুল হকের ছেলে। তিনি সরশপুর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান। এই ঘটনায় গোলাম সারোয়ার কুমিল্লা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মোঃ মনির হোসাইন এর নিকট লিখিত একটি অভিযোগ দায়ের করে।
এদিকে, ঘটনাটি জেনে তদন্তে নামে পুলিশ। পুলিশি তদন্তে উঠে আসে অভিনব তথ্য। এ প্রসঙ্গে জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয় শনিবার বিকেলে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার আব্দুল মান্নান জানান, ঘটনাটি পরিকল্পিত। নির্বাচনী পরিবেশ বিশৃঙ্খল করার লক্ষ্যে ষড়যন্ত্রমূলকভাবে পাঁচ জন ব্যক্তিকে দিয়ে এই ঘটনা ঘটায় মারধরে শিকার হওয়া নির্বাচনী মনোনয়ন পত্র সংগ্রহকারী গোলাম সারোয়ার। তাকে মারধরের ভিডিওটি ফেসবুকেও ভাইরাল করা হয়। ভিডিও ফুটেজ থেকে প্রাপ্ত তথ্য নিয়ে এই ঘটনার সাথে জড়িত পাঁচজনকে কুমিল্লা নগরী থেকে আটক করে পুলিশ।
পুলিশ সুপার আরো জানান, জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা ঘটনার সাথে পরিকল্পিতভাবে জড়িত থাকার অভিযোগ স্বীকার করেছে। ঘটনার মূল হোতা গোলাম সারোয়ার সহ অন্যান্যদেরকে আটকের চেষ্টা চালানো হচ্ছে বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানায় পুলিশ।সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার আশফাকুজ্জামান, সদর সার্কেল মোঃ কামরান হোসেন, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাজেস বড়ুয়া প্রমূখ।