বর্তমান সরকারের উন্নয়ন কার্যক্রম দেখে বিএনপি নেতাদের মাথা কাজ করছে না, উন্নয়ন নিয়ে অপরাজনীতি করছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর। তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা চায় না দেশের মানুষ সুখে থাকুক। বিএনপি চায় আমরা যেন অন্যের উপর নির্ভরশীল হই, যা তাদের আমলে করেছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা চেয়েছেন দেশে যেন আত্মনির্ভরশীল হয়। সেটা তিনি করে দেখিয়েছেন। তাই আজ দেশে বিদেশে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।
বুধবার (১১ অক্টোবর) বিকেলে কুমিল্লার তিতাস উপজেলার ভিটিকান্দি ইউনিয়নে (দাসকান্দি, রঘুনাথ, কাশিপুর, দুলারামপুর, ঘোষকান্দি, নারায়ণপুর) আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে সরকারের উন্নয়ন প্রচারপত্র বিতরন,পথসভা ও গণসংযোগের কালে তিনি এইসব কথা বলেন।
ইঞ্জিনিয়ার মো. আবদুস সবুর বলেন, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের জন্য ইতিমধ্যে ইউরেনিয়াম দেশে চলে এসেছে। এটা গর্বের বিষয় যে বাংলাদেশ বিশ্বের মধ্যে ৩৩তম দেশ হিসেবে পারমানবিক ক্লাবে যুক্ত হয়েছে। যা কঠোর নিরাপত্তার মাধ্যমে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে পৌঁছানো হয়েছে। কিন্তু বিএনপির নেতা কি করলো? এই ইউরেনিয়াম নিয়ে অপব্যাখ্যা দিতে শুরু করেছে। এই অপব্যাখ্যা রাষ্ট্রদ্রোহের শামিল। ইউরেনিয়াম নিয়ে অপব্যাখ্যার কারণে বিএনপি নেতাদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দেয়া উচিত। তারা দেশের উন্নয়ন সহ্যই করতে পারছে না। দেশের মানুষ ভালো থাকুক তারা চায় না।
দাউদকান্দি-তিতাস জনগণের কাছে নৌকায় ভোট চেয়ে ইঞ্জি. আবদুস সবুর বলেন, আগামী নির্বাচনে টানা চতুর্থবারের মত আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় আনতে প্রত্যেকটি নেতাকর্মীদের কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। নির্বাচনে বিজয়ের কোন বিকল্প নেই। দেশের উন্নয়নের জন্য, দেশের টেকশই অর্থনীতির জন্য আওয়ামী লীগকে আবার ক্ষমতায় আনতে হবে, জননেত্রী শেখ হাসিনাকে আবারো প্রধানমন্ত্রী হতে হবে। আর এই নির্বাচনে টানা চতুর্থ বারের মত বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী হওয়াই হবে সকল ষড়যন্ত্রের কড়া জবাব।
গণসংযোগে অংশগ্রহণ করেন কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অধ্যাপক ড. আব্দুল মান্নান জয়, বশিরুল আলম মিয়াজি, তিতাস উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক আহবায়ক তফাজ্জল হোসেন ভূইয়া, তিতাস উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি মজিবুর রহমান মুন্সী, তিতাস উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি শাহলম শান্তি, সাবেক সদস্য সচিব দেওয়ান জাহাঙ্গীর,কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি সালেহ মোহাম্মদ টুটুল, দাউদকান্দি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার মো. মহিউদ্দিন সিকদার, তিতাস উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মীর শওকত লিটন, কুমিল্লা জেলা পরিষদের সদস্য দেলোয়ার হোসেন পলাশ, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক পারুল আক্তার, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মো. সারওয়ার হোসেন বাবু, তিতাস উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক লিটন শওকত, তিতাস উপজেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি সাজ্জাদ সিকদার, কুমিল্লা উত্তরের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি জিএস সুমন সরকার,তিতাস উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক ও সদর কড়িকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলম মুরাদ, তিতাস উপজেলা ওলামালীগের সহসভাপতি পীরজাদা বোরহান উদ্দিন, ভিটিকান্দি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো: বাবুল আহমেদ, দাউদকান্দি সদর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান শাহীন, মহিলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক হাসিনা বেগম, ভিটিকান্দি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এইচ এম এখলাস, সাধারণ সম্পাদক মো. শহীদ উল্লাহ, ভিটিকান্দি ইউনিয়নের স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ সরকার, যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ইব্রাহিম সরকার, কলাকান্দি ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সভাপতি হাবিবউল্লাহ বাহার, তিতাস উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি একেএম কামরুল হাসান তুষারসহ কুমিলা উত্তর, তিতাস উপজেলা ও ভিটিকান্দি ইউনিয়নের স্থানীয় আওয়ামী লীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিকলীগের নেতৃবৃন্দ।