বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহত রিফাত হত্যার বিচার এবং মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে ছাত্র সমাজ ও সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ ।
মঙ্গলবার(১০ সেপ্টেম্বর) দুপুরে দাউদকান্দির বারপাড়া কলেজের সামনে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সমাজ ও সর্বস্তরের জনগণের ব্যানারে এ মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। পরে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের বারপাড়া বাসস্ট্যান্ডে বিক্ষোভ মিছিল করেন। তাৎক্ষণিক দাউদকান্দি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল্লাহ ঘটনাস্থলে এসে মিছিলকারীদের মহাসড়ক থেকে সরিয়ে দেন।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে বারপাড়া ইউনিয়েনর সুকিপুর গ্রামের রিফাত গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন। রিফাত নিহত হওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’টি হত্যা মামলায় সাধারণ মানুষকে জড়িয়ে হয়রানিসহ অর্থ বাণিজ্য করছে একটি মহল। আমরা এ ঘটনার তীব্র নিন্দা এবং প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সেই সাথে রিফাত হত্যার সাথে জড়িত প্রকৃত আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবী জানাচ্ছি।
আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী বরকোটা কলেজের ছাত্র সাদাফ হোসেন বলেন, রিফাত হত্যা ঘটনায় দু’টি মামলায় অনেক নিরীহ মানুষকে আসামি করা হয়েছে। একটি মহল তাদের স্বার্থ হাসিলের জন্য এ মামলা করিয়েছে। আমরা ছাত্র সমাজ এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। পাশাপাশি মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ প্রকৃত হত্যাকারীদের বিচার দাবী করছি।
মো. শাকিব নামে আরেক ছাত্র নিজেকে সমন্বয়ক দাবী করে বলেন, অন্যায় করছে ২০/২৫জন, আর মামলার আসামি দেয়া হয়েছে ১০০/১৫০জনকে। একটি ফ্যাসিবাদি দল এগুলো করেছে। আমরা চাই যে, প্রকৃত খুনিদের বিচার করা হোক আর নিরীহ নিরপরাধ মানুষ হয়রানি থেকে মুক্তি পাক।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের দাউদকান্দি উপজেলা সমন্বয়ক মো. নাজমুল হাসান মোবাইলে বলেন, আমি একটু অসুস্থ্য, ঢাকায় আছি। মানববন্ধনের বিষয়টি আমি শুনেছি। বিস্তারিত জেনে পরে জানাব।
উল্লেখ, গত ৫ আগস্ট ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের শহিদনগরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রিফাত হোসেন নামে এক ছাত্র গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যায়। ওই ঘটনায় ১৮ আগস্ট দশপাড়া গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক ফকির নামে এক ব্যক্তি ৪৮ জনের নামে এবং অজ্ঞাত ১০০/১৫০ জনের নামে দাউদকান্দি মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। ১ সেপ্টেম্বর নিহত রিফাতের মা নিপা কুমিল্লার আদালতে ৫৫ জনের নামে আরেকটি মামলা করেন। মামলার আরজিতে নিপা উল্লেখ করেন, কতিপয় ব্যক্তিরা আব্দুর রাজ্জাক ফকির নামে জনৈক ব্যক্তিকে দিয়ে থানায় মামলা করিয়েছে। ওই ব্যক্তির আমার সাথে কোন যোগাযোগ নেই, তাকে আমি চিনিও না।