কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর ইউনিয়নের পৈন্নাই গ্রামের মোস্তফা মিয়া তার বাড়াটিয়া সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে পার্শ্ববর্তী বাড়ীর জায়গা দখলকে কেন্দ্র করে প্রতিবন্ধী কবির মিয়াসহ ছেলে-মেয়েদের উপর ফিল্মি স্টাইলে হামলা ভাঙচুর এবং লাঠি সোটা, লোহার রড,হাতুড়ি ও ক্রিকেটের স্ট্যাম্প দিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনাটি ঘটে গত (১৫ আগস্ট)মঙ্গলবার দুপুরে৷ এ ব্যাপারে প্রতিবন্ধী কবির মিয়ার বড় ছেলে আক্তার মিয়া বাদী হয়ে ৯ জনের নাম উল্লেখ করে আরো অজ্ঞাত ৪ সহ ১৩ জনকে আসামী করে দাউদকান্দি মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করলে পুলিশ তাৎক্ষনিক ভাবে অভিযান চালিয়ে আবু সাঈদ(২৫) ও মোঃ সাজ্জাদ হোসেন(২২)কে আটক করে কুমিল্লা জেল হাজতে প্রেরন করা হলে বর্তমানে তারা দুই জনই জামিনে আছে৷
এদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বাড়ীঘর ভাংচুরের একটি ভিডিওতে দেখা যায় আগ্রাসী ভূমিকা নিয়ে মোস্তফা ও তার দলবল নিয়ে নির্মানাধীন বাড়ী-ঘরে ভাঙচুর চালিয়ে মালামাল ক্ষতি সাধিত করে৷
স্থানীয়রা জানায়,কবির মিয়ার বসত বাড়িতে ঘর নির্মাণকে কেন্দ্র করে এই মারামারির সৃষ্টি হলে একপর্যায়ে বিশাল সংঘর্ষের রূপ নিলে প্রতিবন্ধী কবির মিয়াসহ ছেলে-মেয়েদের ওপর ফিল্মি স্টাইলে লাঠি সোটা, লোহার রড,হাতুড়ি ও ক্রিকেটের স্ট্যাম্প নিয়ে অতকির্ত হামলা চালিয়ে বেধড়ক পিটিয়ে গুরুতর আহত করে এবং নির্মানাধীন বাড়ী ঘর ভাংচুর করে এতে প্রতিবন্ধী কবির মিয়াসহ তার দুই ছেলে আক্তার(৪০)ইকবাল(২৫) ও তিন মেয়ে সালমা(৩৮)ফাহিমা(২২)ও স্বপ্না(২৭)কে গুরুতর আহত অবস্থায় দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হলে প্রতিবন্ধী কবির মিয়া ও তার মেয়ে স্বপ্নাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে আশংকাজনক অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে প্রেরন করা হয়৷
এদিকে প্রতিবন্ধী কবির মিয়ার বড় ছেলে আক্তার মিয়া বলেন, আমার দাদা আব্দুর রহমান কুটুমের সম্পত্তি আমার বাবা কবির মিয়া ওয়ারিশ সূত্রে মালিক হয়, ফাইনাল বিএস গেজেট আমার বাবার নামে হয় এবং উপজেলা ভূমি অফিস আমাদের নামে খারিজ দেন।
সেই জায়গায় মোস্তফা এবং তার আত্মীয়-স্বজনরা তাদের বলে দাবি করে আমাদেরকে বাধা দিলে আমরা আইনের শরণাপন্ন হই।
পূর্বে কয়েকবার সালিশ দরবারে বসলেও মোস্তফা গংরেরা শালিসে আসেনি। তারা আমাদেরকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়ে যায়, যদি মামলা করি তাহলে আমাদেরকে জানে মেরে ফেলবে। আমরা জানিনা তারা কিসের মূলে এই জায়গার দাবি করে।
অভিযুক্ত মোস্তফার সাথে মোবাইলে যোগাযোগ কর হলে তার ব্যবহ্নত মোবাইল ফোন 01819016199 নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়। তাই তার বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।