কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার মালিগাঁও ইউনিয়নের বায়নগর গ্রামে ছেলের হাতে মারধর ও নির্যাতনের স্বীকার অসহায় মাজেদা বেগমকে ফলের ঝুড়ি নিয়ে দেখতে গেলেন মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) মোজাম্মেল হক পিপিএম।
বৃহস্পতিবার( ২৬ অক্টোবর) সন্ধ্যায় উপজেলার মালিগাঁও ইউনিয়নের বায়নগর গ্রামে গিয়ে ছেলে মনির শিকাদারের হাতে নির্যাতিত সত্তরোর্ধ্ব অসহায় মাজেদা বেগমকে দেখতে যান ওসি মোজাম্মেল হক।
এসময় তিনি ভুক্তভোগীর শারীরিক খোঁজখবর নেন এবং মাকে নির্যাতনকারী মনির শিকদারের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন।
এসময় সঙ্গে ছিলেন— ডিএসবি কর্মকর্তা উপপরিদর্শক(এসআই) রেজাউল করিম।
ডিএসবির কর্মকর্তা রেজাউল করিম জানান, “ওসি মহোদয় অসহায় বয়োবৃদ্ধ মহিলাকে নির্যাতনের ঘটনা শোনার পরপরই বায়নগর গ্রামে যাওয়ার জন্য উদগ্রীব ছিলেন৷ তাই তিনি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় গিয়ে বয়োবৃদ্ধ অসহায় এই মহিলার খোঁজখবর নেন, পাশাপাশি তিনি যতদিন এই থানায় কর্মরত থাকবেন ভুক্তভোগীকে ভরণপোষণের জন্য সাধ্যমত আর্থিক সহযোগিতা করার প্রতিশ্রুতি দেন।
তিনি বলেন,এমন অমানবিক নিষ্ঠুর ঘটনা যাতে আর পুনরাবৃত্তি না ঘটে সেজন্য আমরা ওসি স্যার এ বিষয়টি সুন্দর সমাধানের জন্য খুব আন্তরিক হয়ে মীমাংসা করার কথা জানান।”
কবি ও পরিবেশবিদ অধ্যাপক মতিন সৈকত এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, “অসহায় মহিলার পাশে দাঁড়ানোর জন্য আন্তরিকভাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মহিনুল হাসান ও ওসি মোজাম্মেল হকের প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, কর্মকর্তারা অসহায় মানুষের জন্য আস্থার ঠিকানা হয়ে ওঠা আমাদের সমাজ ও দেশের জন্য নিঃসন্দেহে একটা পজেটিভ বার্তা। ”
দাউদকান্দি প্রেসক্লাবের সভাপতি সাংবাদিক হাবিবুর রহমান বলেন”, ছেলে কর্তৃক মায়ের নির্যাতনের আমি ঘটনাটি শুনে খুব ব্যথিত হয়েছিলাম,তবে এই মুহূর্তে আমার সেই হৃদয় আকাশ থেকে ব্যথার ভারটা কেটে গেছে।কারণ হিসেবে তিনি বলেন, প্রশাসন ও পুলিশের এই উদ্যোগে আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও মডেল থানার ওসিকে সাধুবাদ জানাই।
ওনাদের আন্তরিকতা ও এমন অভাবনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার কারণে আমাদের এই এলাকায় এমন অমানবিক ঘটনার আর পুনরাবৃত্তি হবে না।
উল্লেখ্য, উপজেলার বায়ননগর গ্রামের জীবন শিকদারে স্ত্রী মাজেদা বেগমকে তার পুত্র মনির শিকার বুধবারে নির্যাতনের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে আলোড়ন সৃষ্টি করে।