কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মালবাহী লরি গাড়ির ধাক্কায় সিএনজি অটো-রিকশার চালক রাশেদ (৩০) সহ দুইজন নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত আরো দুইজন। নিহত রাশেদের বাড়ী কুমিল্লার সদর দক্ষিণ উপজেলার মথুরাপুর এলাকায় বলে জানা গেছে। অপর নিহতের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার বিকালে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের উপজেলার মিয়াবাজারস্থ কাশিনগর বাইপাস সড়কের মুখে সিএনজি স্ট্যান্ড এলাকায়। সংবাদ পেয়ে মিয়াবাজার হাইওয়ে থানা পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘাতক লরি গাড়িটি জব্দ করেছে। লরি চালক পালিয়ে গেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মিয়াবাজার হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মো: রইছ উদ্দিন।
জানা গেছে, চট্টগ্রাম থেকে ছেড়ে আসা একটি লরি গাড়ি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে শুক্রবার বিকালে মহাসড়কের মিয়াবাজারস্থ কাশিনগর বাইপাস সড়কের মাথায় পৌঁছলে সেখানকার সিএনজি স্ট্যান্ডে অবস্থান করা তিনটি সিএনজি অটো-রিকশাকে পেছন থেকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে সিএনজিগুলো দুমড়ে-মুচড়ে যায় এবং লরির চাকায় পিষ্ট হয়ে সিএনজি চালক সহ দুইজন ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছে আরো দুইজন। পরে স্থানীয়রা নিহত ও আহতদের উদ্ধার করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেছে বলে জানা গেছে। ঘটনার পর থেকে লরি চালক পলাতক রয়েছে। সংবাদ পেয়ে মিয়াবাজার হাইওয়ে থানার উপ-পরিদর্শক মো: নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে ঘাতক লরিটি জব্দ করে থানায় নিয়ে আসে। নিহত ও আহতদের পরিচয় এখনো পাওয়া যায়নি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত নিহতদের লাশ উদ্ধার ও পরিচয় সনাক্তের চেষ্টা চলছে।
এ বিষয়ে মিয়াবাজার হাইওয়ে থানার অফিসার ইনচার্জ মো: রইছ উদ্দিন বলেন, শুক্রবার বিকালে উপজেলার মিয়াবাজারে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কাশিনগর রাস্তার মাথা এলাকায় তিনটি সিএনজি অটো-রিকশা দাঁড়িয়ে যাত্রী তুলছিলো। হঠাৎ ঢাকাগামী একটি মালবাহী লরি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা সিএনজিগুলোকে পেছন থেকে সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে পিষ্ট হয়ে সিএনজি চালক রাশেদ ও এক যাত্রী ঘটনাস্থলেই নিহত হয়েছে বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় আরো দুইজন আহত হয়েছে। তবে, তাৎক্ষণিক নিহত সিএনজি চালকের সংক্ষিপ্ত পরিচয় পাওয়া গেলেও অপর হতাহতদের পরিচয় পাওয়া যায়নি। ঘটনার পরপরই কৌশলে লরি চালক পালিয়ে গেছে।