কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে মোঃ ইয়াকুব নামে এক ওষুধ ব্যবসায়ীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। তিনি উপজেলার কনকাপৈত ইউনিয়নের বসকরা গ্রামের আবুল কাশেমের পুত্র। মঙ্গলবার বিকেলে চৌদ্দগ্রাম বাজারস্থ সোনালী ব্যাংকের পিছনে আবদুল হক বিল্ডিংয়ে ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়েছে। বুধবার ময়নাতদন্তের জন্য লাশ কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে। সন্ধ্যায় তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন থানার উপ-পরির্শক জাহাঙ্গীর হোসেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে ইয়াকুবের সাথে তার স্ত্রী হালিমা আক্তার রিফার পারিবারিক বিভিন্ন বিষয়ে ঝগড়া চলছিল। এরই জের ধরে সোমবার হালিমা আক্তার রিফা ভাড়া বাসা থেকে বাবার বাড়ি খিরণশাল গ্রামে চলে যায়। মঙ্গলবার দুপুরে ভাড়া বাসায় ইয়াকুবের ভাইসহ আশ-পাশের লোকজন দরজা খুলে ভিতরে প্রবেশ করে দেখে-গলায় ওড়না লাগিয়ে সিলিং ফ্যানের সাথে সে ঝুলন্ত অবস্থায় আছে। তাকে উদ্ধার করে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ইয়াকুবের ছোট ভাই আবদুর রহমান মুন্না বলেন, মঙ্গলবার দুপুর সাড়ে ১২টায় ভাবি হালিমা আক্তার রিফা কল করে জানায় ভাই ইয়াকুব কল রিসিভ করছে না। এ খবর শুনে আড়াইটার দিকে চৌদ্দগ্রাম বাজারের ভাড়া বাসায় গিয়ে বাড়ির মালিক ও আশ-পাশের লোকজন নিয়ে দরজা ভেঙে ভিতরে প্রবেশ করে দেখি-ভাই, ভাবির ওড়না দিয়ে সিলিং ফ্যানের সাথে ঝুলতেছে। তাৎক্ষণিক আমরা তাকে উদ্ধার শেষে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
ইয়াকুবের মা রেহানা বেগম বলেন, আমাদেরকে পুত্রবধু হালিমা আক্তার রিফা সহ্য করতে পারতো না। কারণে-অকারণে আমার ছেলের সাথে পুত্রবধু হালিমা আক্তার রিফার ঝগড়া হলে ভাড়া বাসায় তাঁর শাশুড়ি এতে হুমকি-ধমকি দিতো। তারা পরিকল্পিতভাবে আমার ছেলেকে হত্যা করেছে। আমার ছেলে আত্মহত্যা করতে পারে না।
চৌদ্দগ্রাম থানার উপ-পরিদর্শক জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘খবর পেয়ে চৌদ্দগ্রাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে লাশ উদ্ধার শেষে থানায় আনা হয়েছে। ময়নাতদন্তের জন্য লাশ বুধবার কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে’।
কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের ‘মুন্সীরহাট ছাত্র সংগঠন’ এর সপ্তম বর্ষে পদার্পণ উপলক্ষে এসএসসি-২০২৪ ব্যাচ ও এইচএসসি-২০২৩ এবং ২০২৪ ব্যাচ এর জিপিএ-৫ প্রাপ্ত...
Read more