কুমিল্লার চান্দিনায় মধ্যরাতে পর পর দুই অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ব্যবসায়ীদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। মাত্র তিন দিনের ব্যবধানে মধ্যরাতেই আরও এক অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ৪টি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠানের সর্বস্ব পুড়ে ছাই হয়ে যায়। শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে চান্দিনা বাজারে বাস স্ট্যান্ড সংলগ্ন মার্কেট প্রথম অগ্নিকান্ডের ঘটনা ওই ঘটনার তিন দিনের ব্যবধানে সোমবার (২৩ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলা সদরের পূর্ব বাজার এলাকায় পুরাতন গরুর বাজারে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। মধ্যরাতেই ওই দুটি অগ্নিকান্ডের ঘটনা নিয়ে বাজারে চাঞ্চল সৃষ্টি হয়েছে।শুক্রবার ওই অগ্নিকান্ডের ঘটনায় গোডাউন সহ অন্তত ২০টি দোকান ঘর পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে ১কোটি টাকারও বেশি ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি জানিয়েছেন ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা। তবে ওই অগ্নিকান্ডটি উদ্দেশ্য প্রণোদিত অগ্নিকাণ্ড ছিল বলে দাবি করে ব্যবসায়ীরা। অন্যদিকে চান্দিনা ফায়ার সার্ভিস বিষয়টি বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে সূত্রপাত দাবি করলেও অগ্নিকান্ড নিয়ে ধুম্রজাল সৃষ্টি হয়। আর এইদিকে দ্বিতীয় অগ্নিকান্ডের লেলিহান শিখা দ্রুত চারদিকে ছড়িয়ে পড়ায় চারটি ব্যবসায় প্রতিষ্ঠান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে প্রায় ৩০ লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ভুক্তভোগী ব্যবসায়ীরা দাবি করেন। তবে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক চান্দিনা বাজারের একাধিক ব্যবসায়ী মধ্যরাতে ওই অগ্নিকান্ডের ঘটনা গুলোকে উদ্দেশ্য প্রণোদিত দাবি করে বলেন- কেউনা কেউত কোন প্রতিহিংসার কারণে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গুলোতে আগুন লাগিয়ে দিচ্ছে। তাদের প্রতিহিংসার কারণে নিঃস্ব হচ্ছি আমরা নিরীহ সাধারণ অনেক ব্যবসায়ী। একের পর এক এমন অগ্নিকান্ডের ঘটনায় আমার অন্য ব্যবসায়ীরাও আতঙ্কে আছি, কখন যানি আমাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আগুন লাগোনোর ঘটনা ঘটে যায়। তাছাড়া অগ্নিকান্ডের ঘটনা গুলোকে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে সূত্রপাত দাবি করার ফলে প্রকৃত ঘটনা আড়াল হয়ে যাচ্ছে। আমরা ব্যবসায়ীরা দোকান বন্ধ করার পূর্বে ভালো ভাবে দেখে দোকানের সকল বৈদ্যুতিক সংযোগ বন্ধ করে বাসায় যাই। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হওয়ার কথা না। সঠিক তদন্তের মাধ্যমে প্রশাসনকে বিষয়টি ক্ষতিয়ে দেখার অনুরোধ জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। এব্যাপারে চান্দিনা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো. এরশাদ আলী ভূইয়া জানান- অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে চান্দিনা ফায়ার স্টেশনের দমকল কর্মী ও স্থানীয়রা প্রায় ১ ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। ততক্ষণে মো. বিল্লাল হোসেনের মালিকানাধীন ১টি ইলেকট্রনিক্স দোকান, মো. কামাল হোসেনের ১টি বেডিং স্টোর, সুভাষ চন্দ্রের ১টি বাঁশ-বেতের পণ্যের দোকান এবং মো. রফিকুল ইসলামের ১টি কলার গুদাম পুড়ে ছাই হয়ে যায়। ইলেকট্রনিক্স দোকানের ২০ লাখ, বেডিং স্টোর ও বাঁশ-বেতের দোকানের ৫লাখ করে এবং কলা দোকানির ১ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। এব্যাপারে চান্দিনা ফায়ার স্টেশনের স্টেশন মাস্টার অনয় কুমার ঘোষ বলেন- বেডিং স্টোর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লেগেছে নাকি অন্য কোন কারণে লেগেছে তদন্তের পর সঠিক বলতে পারবো। অগ্নিকান্ডে দোকানগুলোর সর্বস্ব পুড়ে গেছে বলে তিনি নিশ্চিত করেন।
কুমিল্লার চান্দিনায় বেসরকারি সংস্থা আশা'র সদস্যদের আধুনিক পদ্ধতিতে সংকর জাতের দুগ্ধবর্তী গাভী পালন প্রশিক্ষণ ও গবাদিপ্রাণির ভ্যাকসিনেশন কর্মসূচি কার্যক্রম পরিচালনা...
Read more