এসময় উপস্থিত ছিলেন – চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আরিফুর রহমান, উপজেলা শিক্ষা অফিসার মনিরুজ্জামান, চান্দিনা আদর্শ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মো. কাওছারুজ্জামান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. আবির, মেডিকেল টেকনোলজিস্ট (ইপিআই) মো. মহিউদ্দিন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ফরহাদ করিমসহ স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তা, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজিয়া হোসেন বলেন, বাংলাদেশর নারীদের জরায়ুমুখের ক্যান্সারে ঝুঁকি কমাতে বর্তমান সরকার ৫ম শ্রেণির ৯ম শ্রেণী পর্যন্ত কিশোরীদের বিনামূল্যে টিকা দেওয়ার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। চান্দিনা উপজেলায় প্রায় ২৬ হাজার কিশোরীরকে এই টিকা দেওয়া টিকা গ্রহণের জন্য নির্দিষ্ট বয়সী ও নির্ধারিত শ্রেণিতে অধ্যয়নরত কিশোরীরা www.vaxepi.gov.bd ওয়েবসাইটে নিবন্ধন করে টিকাকার্ড সংগ্রহ করতে পারবে। পরে ওই কার্ড দেখিয়ে টিকার ডোজ গ্রহণ করতে হবে।
তিনি আরও বলেন – উপজেলা,পৌরসভায় একসঙ্গে চার সপ্তাহ বা এক মাসে মোট ১৮ কর্মদিবস এইচপিভি টিকাদান কর্মসূচি চলবে। প্রথম ১০ কর্মদিবস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ও বাকি ৮ কর্মদিবসে স্কুলের বাইরে এলাকায় এলাকায় টিকা দেওয়া হবে। প্রতি বছর বাংলাদেশে বিপুল পরিমাণ নারী জরায়ুমুখের ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়। এর মধ্যে ৪ হাজার ৫১ জন নারী মারা যায়। তথ্য অনুযায়ী এক লাখ নারীর মধ্যে ১১ জন এই ক্যান্সারে আক্রান্ত। তবে এই জরায়ুমুখের ক্যান্সারের টিকা আবিষ্কারের ফলে বর্তমানে সফলভাবে এ টিকা কাজ করছে। চান্দিনা উপজেলায় কিশোরী ও মহিলাদের জরায়ুমুখ ক্যান্সারের ব্যাপারে সচেতনতামূলক কার্যক্রম চলছে এবং সংক্রমনরোধে রেজিষ্ট্রেশন করে বিনামূল্যে এইচপিভি টিকা প্রদান করা শুরু হয়েছে।
এসময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আরিফুর রহমান বলেন, মানবদেহে বিভিন্ন প্রকার ক্যানসার হয়ে থাকে। এর কিছু বেশির ভাগ ক্যান্সার হওয়ার কারণ জানা যায় না। তবে জরায়ুমুখের ক্যান্সার মানুষের শরীরের বাইরের জীবানুর মাধ্যমে হয়ে থাকে। বিশেষ করে যৌন সংক্রমনের মাধ্যমে এই ক্যান্সার হয়ে থাকে। চান্দিনায় এই সংক্রমন রোধ করতে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে বিনামূল্যে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কিশোরীদের এইচপিভি টিকা প্রদান করা হবে।