কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার চালিভাঙ্গা ইউনিয়নে আওয়ামীলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে
সংঘর্ষে নিহত হয়েছেন ইউনিয়ন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা। এতে আহত হয়েছে অন্তত আরো ১৫ জন। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল সহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
মেঘনা থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ দেলোয়ার হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
নিহত মোঃ নিজাম সরকার চালিভাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি। সে স্থানীয় নলচর গ্রামের মোঃ আব্বাসের পুত্র এবং চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবিরের ছোট ভাই।
মেঘনা থানার অফিসার ইনচার্জ দেলোয়ার হোসেন জানান, জেলা পরিষদ সদস্য আবদুল কাইয়ুম এবং চালিভাঙ্গা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবিরের ছোট ভাই নিজাম সরকারের মধ্যে দীর্ঘদিন ধরেই আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করেই এ হামলার ঘটনাটি ঘটে। এরই সূত্র ধরে সোমবার(১৮ সেপ্টেম্বর)সকালে কাইয়ুম গ্রুপ ও হুমায়ুন চেয়ারম্যানের ছোট ভাই নিজাম সরকার গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে কয়েক দফা গুলি বিনিময় ও টেঁটা দিয়ে আঘাত পাল্টা আঘাতের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের বেশির ভাগকেই ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। সেখানে চালিভাঙ্গা ইউনিয়ন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবকলীগ সভাপতি নিজাম সরকারের মৃত্যু হয় বলে আমরা খবর পেয়েছি।
স্থানীয়রা জানায়, আহতদের বেশিরভাগ টেঁটাবিদ্ধ হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এছাড়াও এর মধ্যে কয়েকজন গুলি বিদ্ধ রয়েছে।
এই ঘটনায় আহতরা হলেন হলেন- টিটু (২৯), রমজান (৩৪), ইব্রাহীম (২৭), শাকিল (২১), খালেদ হাসান (১৮), দেলোয়ার (৩০), আনিছ সরকার (২৪), সুমন (২২) , হানিফ (৪৫) ও ওয়াসিম (৩৫)।
পুলিশ আরো জানান, সকাল থেকে কয়েকদফা সংঘর্ষ হয়। এখন এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রাখা হয়েছে।